একটি শিশুকে নৈতিক চরিত্রবান করে গড়ে তোলাই বাবা মা'র প্রধান দায়িত্ব। একজন মা'ই পারেন জাতিকে একজন আদর্শ নৈতিক চরিত্রবান নাগরিক উপহার দিতে। এই নৈতিক প্রশিক্ষণ শিশুকাল থেকেই শুরু হবে। যখন শিশু একটু বুঝতে শিখে, বাবা মার পরেই শিশুকে তার স্রষ্টার সাথে পরিচয় করাতে হবে। মায়েরা সাধারণত শিশুকে চাঁদ দেখান আর বলেন, “আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা”। শিশুর মুখে যখন কথা ফোটার সময় হয়, মা তখন তাকে 'আল্লা’ 'আল্লা' নামের সাথে পরিচয় করাবেন। মা 'আন্না' 'আল্লা' বলবেন, শিশুও মায়ের সাথে ‘আল্লা' ‘আল্লা' বলবে। এরপর শিশু যখন দুনিয়ার বস্তু জগতের সাথে পরিচিত হতে থাকবে, আকাশের চাঁদের দিকে তাকাবে গভীর আগ্রহে, মা তখন বলবেন, কি সুন্দর আল্লাহর চাঁদ, কি সুন্দর আল্লাহর আকাশ, আল্লাহর বাতাস, আল্লাহর মেঘ। এভাবে শিশু দু'এক বছরের মধ্যে আল্লাহর সাথে পরিচিত হবে।
শিশুকে দৈহিক পুষ্টি সাধনের জন্য ফল, পেঁপে, আম, কাঁঠাল, কলা খাওয়ানের সাথে সাথে বাবা মা তাকে মনের নৈতিক খোরাকও দেবেন। আব্বু এই কলা কে দিয়েছে? আমটা, লিচুটা কে বানিয়েছে, বলতো? শিশু মার দিকে চেয়ে থাকবে, জানার আগ্রহে। মা বলবেন- আল্লাহ বানিয়েছেন, আল্লাহ দিয়েছেন। তখন আপনি যদি প্রশ্ন করেন, এই কলা, আম, লিচু মানুষে বানাতে পারে, আব্বু বলতো? তিন চার বছরের শিশু জবাব দেবে 'না'। আমার নাতীকে যখন প্রশ্ন করেছিলাম, তখন সে জবাব দিয়েছে 'না নানু' মানুষের কলা খাওয়া যায় না, ভেঙ্গে যায়। মানুষের কলা, আম, মাটি দিয়ে বানায়, তাই খাওয়া যায় না। এইভাবে শিশুর জ্ঞানচক্ষু খুলবে, তার স্রষ্টার নামের সাথে গভীরভাবে পরিচিত হবে। যে স্রষ্টা এতকিছু দান করেছেন, সে স্রষ্টাকে সে ভালবাসবে এবং বড় হয়ে সে তার স্রষ্টার অনুগত হবে । এইভাবে সে স্রষ্টার আদেশের আনুগত্য করে ভবিষ্যতে সুন্দর জীবনের অধিকারী হবে। আপনি মা, আপনি পিতা, আপনারা শিশুর সামনে কখনো মিথ্যা বলবেন না । মিথ্যা কোন কিছু দেয়ার আশ্বাস দিবেন না ।